রামধনু — ৩

ভেবেছিলাম এই প্রবন্ধ দুটো পোস্টেই শেষ করে দেব। কিন্তু লিখতে গিয়ে দেখছি কথা বেড়ে যাচ্ছে। এটা প্রবন্ধের তৃতীয় ভাগ। এর আগের ভাগটা এখানে পাবেন

এই পোস্টে আমরা ভিন্ন যৌনতার মানুষের প্রতি সমাজের মনোভাব নিয়ে আলোচনা করব। আগে আমরা বলেছি, ভারতে ঐতিহাসিক ভাবে ভিন্ন যৌনতাকে মর্যাদা দেওয়া হয়নি। এখনো সমাজের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ সমকামীদের খোলা মনে মেনে নিতে পারবেন বলে মনে হয়না। কেন?

নিজেকে আমি প্রগতিশীল উদারমনস্ক ভাবতেই ভালবাসি। তবে এই উদারতা একদিনে আসেনি। এই মুহুর্তে ভিন্ন যৌনতার মানুষের প্রতি আমার যা দৃষ্টিভঙ্গি, দশ-পনেরো বছর আগে হয়ত সেটা ছিলনা। উদারতাটা এসেছে আস্তে আস্তে, অনেক সময় ধরে।

ছোটবেলায় যখন রাস্তাঘাটে প্রথম হিজড়েদের দেখি, মা-বাবাকে প্রশ্ন করেছিলাম যে ওরা কারা। উত্তর এসেছিল ভাসা ভাসা। সেই ভাসা ভাসা জ্ঞানটাই অনেক বড় বয়স অবধি একমাত্র সম্বল ছিল। কারণটা পরিষ্কার — হিজড়েদের আমরা স্থান দিয়েছি সমাজ জীবনের একেবারে প্রান্তে। তারা বড়জোর পথেঘাটে মাঝে মাঝে বিরক্তির উদ্রেক করতে পারে। কিন্তু তাদের মানুষ বলে গণ্য করা বা তাদের নিয়ে মাথা ঘামানোর দায় সমাজের নেই, আমারো ছিলনা।

সমকামীদের প্রতি মনোভাবটা ছিল একই রকম, মানে মূলতঃ অবজ্ঞা। এর সঙ্গে মিশে ছিল খানিকটা ভয়। আর যাই কর, কখনো সমকামীদের হাতে পোড়োনা। কপালে তাহলে দুঃখ আছে। “Shawshank Redemption” সিনেমার “Sisters”-দের মনে আছে? সমকামীদের এই বিকৃত ছবিটা গল্প সিনেমাতে এত প্রচলিত যে এটাকেই আমরা ধ্রুব সত্য বলে জানতাম। আর তার থেকেই জন্ম নিত ভয়। এ কথা বলছিনা যে “Sisters”-রা কল্পনামাত্র, বাস্তবে তাদের দেখা মিলবেনা। কিন্তু “Sisters”-দের আচরণ মানসিক বিকৃতি মাত্র এবং সেটা সমকামীতার ফল নয়। সমকামী না হলে ওরা অন্যধরণের দুষ্কার্য করে বেড়াত। মানসিক বিকৃতি সমাজের সব স্তরেই আছে। সমকামীদের মধ্যে হয়ত কিছুটা বেশিই আছে। অন্ততঃ তুলনামূলক ভাবে বেশি থাকাটা অস্বাভাবিক নয়। সহজাত প্রবৃত্তিকে সমাজের চাপে ক্রমাগত অবদমিত করে রাখলে বিকৃতি দেখা দেওয়াটাই স্বাভাবিক। এই “Sisters”-রা কিন্তু সমকামীদের একমাত্র পরিচয় নয়। ওঁরা আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের মতই আমাদের চারপাশে ছড়িয়ে আছেন, কেউ প্রকাশ্যে, কেউ বা লুকিয়ে। কলেজ জীবন থেকে শুরু করে ভিন্ন যৌনতার বেশ কিছু মানুষের সংস্পর্শে আসার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। তাঁদের চেনার মাধ্যমেই ধীরে ধীরে গড়ে উঠেছে উদারতা।

ডিসেম্বর মাসের পর থেকে বহু সমকামী মানুষ ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে প্রবন্ধ লিখেছেন সংবাদপত্রে ও ইন্টারনেটে। সে সব কাহিনি পড়ে মাঝে মাঝে মনে হয়েছে, এই কি সভ্যতার নমুনা? দুই সমকামী পুরুষ বাড়ি ভাড়া করে আছেন। একদিন তাঁদের স্বরূপ জানাজানি হয়ে গেল পাড়ায়। পুলিশ তুলে নিয়ে গেল আর হাজতে ভরে চলল অত্যাচার। এ ঘটনা হামেশাই ঘটেছে (প্রবন্ধটি দ্য হিন্দুতে প্রকাশিত)। আরেকটি ঘটনার কথা পড়লাম। একটি অপেক্ষাকৃত দুর্বল মেয়েলি চেহারার ছেলে একবার কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে রাত কাটাচ্ছিল, কোন একটা বড় পরীক্ষার পর অনেক হুল্লোড় করে। সেই রাতে আরেকটি ছেলের প্রতি আকৃষ্ট হয় সে। ব্যাপারটা জানাজানি হয়। তখন ফুটবল টিমের দাদাদের তার নির্যাতনের হাতেখড়ি। সেই নির্যাতন জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে আজও ঘটে চলেছে (টাইমস অফ ইন্ডিয়া)।

“Sisters”-রা পুরুষ সমকামীদের স্টিরিওটাইপ। মহিলা সমকামীদের সেরকম কোন স্টিরিওটাইপ আছে বলে জানিনা। কিন্তু সামাজিক ভাবে মহিলা সমকামীদের অবস্থা আরো করুণ। বহু ক্ষেত্রেই তাঁদের পরিবারের হাতেও শারীরিক নির্যাতন সহ্য করতে হয়। শুনেছি এক সমকামী বোনকে ‘শিক্ষা’ দেওয়ার জন্য বাবা মায়ের উপস্থিতিতেই তার দাদা এক বন্ধুকে রোজ তার ঘরে ঢুকিয়ে দিত। এরকম ঘটনা মোটেই বিচ্ছিন্ন নয়। এ ছাড়া জোর করে বিয়ে দেওয়া তো আছেই (যদিও সেটা পুরুষদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য)। যেহেতু স্ত্রী-স্বাধীনতা মূলতঃ আমাদের সমাজের উপরিতলেই আটকে আছে (সেখানেও আছে তো?), তাই পালিয়ে বেঁচে যাওয়ার পথটাও অধিকাংশ মেয়ের সামনেই খোলা থাকেনা। সমাজের কাছে প্রতিকার চাইতে যাওয়া অর্থহীন। একমাত্র উপায় মুখ বুজে অত্যাচার সহ্য করা।

সমাজের এই অসহিষ্ণুতা রোগমুক্তির উপায় কী? এক কথায় উপায় বাৎলাতে গেলে সেটা অতি সরলীকরণ হয়ে যাবে। এবং আমার মনে হয়না যে ধর্মীয় সংগঠন বা খাপ পঞ্চায়েতের দল কোন যুক্তি মানতে রাজী। তাদের জন্য লাঠ্যৌষধিই একমাত্র ওষুধ। কিন্তু পুরো সমাজটাকে তো আর লাঠি মেরে শেখানো যায়না। আমরা আগেই দেখেছি যে দেশের যুবসমাজের মধ্যেও উদারতা বস্তুটি ভীষণ ভাবে অনুপস্থিত। আমার ধারণা এর সমাধান হল সচেতনতা বাড়ানো। যুবসমাজের এই অনুদারতা কেবলমাত্র অজ্ঞানতারই ফসল। বহু মানুষের মনে সমকামীদের সেই “Sisters”-দের ছাঁচে ঢালা ছবিটাই মৌরসীপাট্টা জমিয়ে বসে গেছে, অন্য কোন ছবির স্থান নেই সেখানে। এই সচেতনতা বাড়বে কী ভাবে? বাড়তে পারে সমকামীদের আরো কাছ থেকে চেনার মাধ্যমে, যেটা আমি নিজের জীবনে উপলব্ধি করেছি। কিন্তু এটা অনেকটা সেই ডিম আর মুর্গির সমস্যার মত। সমাজ উদার না হলে সমকামীরা সমাজের মূল স্রোতে আসবেননা। মূল স্রোতে না আসলে সমাজের বাকি অংশ তাঁদের সম্যক পরিচয় পাবেন না। আর পরিচয় না হলে সচেতনতাও বাড়বেনা। এই চক্রব্যূহ ভেদ করার কোন সহজ উপায় আমার জানা নেই। হয়ত সময়ই পথ বলে দেবে একদিন।

প্রবন্ধটা শেষ করি কিছু ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা বলে। একটা কথাও মনগড়া বা শোনা নয়। প্রত্যেকটি ঘটনাতে আমি প্রথম পুরুষে বিদ্যমান।

আঠেরো বছর বয়স। এলাম কলেজে পড়তে। থাকতে হবে হোস্টেলে। এই প্রথম বাড়ি থেকে আলাদা, সম্পূর্ণ একা। ব্যাচে প্রায় পাঁচশোটি ছেলে। প্রকৃতির নিয়মে এই পাঁচশোর মধ্যে বেশ কয়েকটি ছেলে ছিল সমকামী। এদের মধ্যে কেউ ছিল প্রকাশ্যভাবে, মানে সবাই সে কথা জানত। কেউ কেউ নিজে জানত, কিন্তু প্রকাশ্যে স্বীকার করতনা। তাদের আমরা চিনেছিলাম আস্তে আস্তে। কিছু ছেলে আবার নিজেরাও জানতনা, বা জানলেও নিজের কাছেই স্বীকার করতে চাইতনা, কিন্তু অন্যেরা সন্দেহ করত। তিন শ্রেণীর সঙ্গেই পরিচয় হয়েছিল কলেজ জীবনের চার বছর।

একটি ছেলে ছিল ঐ প্রথম শ্রেণীর, অর্থাৎ প্রকাশ্য ভাবে সমকামী। সবাই তাকে চিনত আর বেশিরভাগ ছেলেই তাকে এড়িয়ে চলত। ছেলেটি বেশ তাগড়া চেহারার। জনশ্রুতি ছিল যে অন্ধকারে আনাচে কানাচে তার সঙ্গে একা দেখা না হওয়াটাই ভাল। জনশ্রুতিটা যে একেবারেই ভিত্তিহীন ছিল এ কথা জোর দিয়ে বলবনা। যেহেতু তাকে সবাই চিনত, তাই দ্বিতীয় শ্রেণীর কিছু ছেলে গোপনে তার দিকে আকৃষ্ট হয়েছিল। তার মধ্যে একটি ছেলে ফার্স্ট ইয়ারে আমার ঠিক পাশের ঘরেই থাকত (আমাদের সিঙ্গল রুমের ব্যবস্থা ছিল)। প্রথম ছেলেটি প্রায়শই রাত্রে আসত আমার পাশের ঘরে, এবং দুজনে একসঙ্গে রাত্রিযাপন করত। সমকামীদের সম্বন্ধে আমার ধারণা তখনো সেই “Sisters”-দের ছাঁচেই আটকে আছে। তাই ভয়ে আমার প্রাণপাখি খাঁচাছাড়া হওয়ার যোগাড় হত। যদি রাত্রে আমার ঘরে ঢোকার চেষ্টা করে? ওরা দুজনেই বেশ ষন্ডা এবং ওদের দুজনের সঙ্গে গায়ের জোরে পেরে ওঠা আমার কর্ম নয়। হোস্টেলের ঘরের দরজায় ছিটকিনি ঠিক ভাবে লাগতনা, বাইরে থেকে জোরে টানলেই খুলে যায়। এখন ভাবলে হাসি পায়, যেদিন দুটি ছেলে এক সঙ্গে রাত্রিযাপন করত, আমি সেদিন পড়ার টেবিল আর চেয়ারটা দরজার সঙ্গে ঠেসিয়ে ভয়ে ভয়ে ঘুমোতে যেতাম। সেই এক বছর কিন্তু একদিনও কেউ আমার দরজা খোলার চেষ্টা করেনি। তখন কি নিজেকে বোকা মনে হয়েছিল? হয়ত নয়। কিন্তু এখন মনে হয়।

তৃতীয় শ্রেণীর দু’টি ছেলে আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিল। তাদের একজনের সঙ্গে পুরো চার বছর প্রায় পাশাপাশি ঘরে বাস করেছি। মজার কথা এই যে সে ছেলেটিও ঐ দুটি ছেলেকে (মানে যারা একসঙ্গে রাত কাটাত) আমাদের আর পাঁচজনের মত মুখে ঘৃণা আর অবজ্ঞা দেখাতে কসুর করতনা। সেই ছেলেটি এসেছিল একটি রক্ষণশীল পরিবার থেকে। নিজেকে সে ধোঁকা দিয়েছে প্রায় তেইশ-চব্বিশ বছর বয়স অবধি। কলেজের পর স্নাতোকত্তর শিক্ষার জন্য সে যায় আমেরিকা। সেখানে গিয়ে অপেক্ষাকৃত মুক্ত সমাজে বাস করে সে ধীরে ধীরে নিজেকে উন্মোচন করতে পেরেছিল। একদিন সে হঠাৎ করে আমেরিকা থেকে আমাকে ফোন করল। “You know, I realized I am gay!”। শুনে প্রায় চেয়ার থেকে উল্টে পড়ে গিয়েছিলাম। তারপর আস্তে আস্তে পুরোন কিছু ঘটনাকে অধুনালব্ধ জ্ঞানের সঙ্গে জোড়া লাগিয়ে দেখি যে দুইয়ে দুইয়ে চার হচ্ছে বটে। তখন মাথায় এল আরেক চিন্তা। তার পরিবারের কী হবে? পরিবার কি মেনে নেবে তাকে, নাকি সনাতন প্রথা অনুযায়ী জোর করে বিয়ে দিয়ে একটি মেয়ের সর্বনাশ ঘটাবে? সে বলল, পরিবার মেনে নেয়নি এবং অদূর ভবিষ্যতে মেনে নেওয়ার সম্ভাবনাও কম। পরিবারের সঙ্গে সম্পর্কের মোটামুটি ইতি টানতে হবেই বলে আশা করছে সে। তবে তার ভারতে ফেরার খুব একটা ইচ্ছে নেই, আমেরিকাতেই থাকতে চায়। তাই পরিবারের চোখ রাঙানিটাকে প্রাত্যহিক সহ্য করতে হবেনা। আমেরিকায় একটি সঙ্গী মিলেছে তার। আপাততঃ তার সঙ্গেই থাকবে।

তারপর বলে চলল নানা ঘটনার কথা। প্রথমে সে নিজে বিশ্বাস করতে চায়নি মোটেই। ভেবেছে এটা মনের বিকার ছাড়া আর কিছুই নয়। ছুটে গেছে সাইকিয়াট্রিস্ট বা সাইকোলজিস্টের কাছে। তাঁরা তার মানসিক উদ্বেগ শান্ত করার চেষ্টা করেছেন, কিন্তু একই সঙ্গে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন যে এটা স্বাভাবিক। একে স্বীকার না করা বাতুলতা। আমি বোকার মত তাকে বারবার জিজ্ঞেস করলাম, তুই কি সত্যিই নিশ্চিত? কোন মেয়ের সঙ্গে সহবাস করে দেখেছিস কি? নিদেনপক্ষে কোন রূপোপজীবিনীর সঙ্গে? এখন এসব প্রশ্নের কথা ভাবলে লজ্জায় মাথা কাটা যায়।

কিন্তু এর পরেই সে বোমাটা ফাটালো। আমাকে নিজের মতামত জিজ্ঞেস করল। “Do you support what I am doing?”। এসব অন্ততঃ বারো-তেরো বছর আগেকার ঘটনা, এবং আগেই বলেছি যে এখন আমার যে মানসিকতা, সেটা গড়ে উঠেছে আস্তে আস্তে। তখন সেই সময় প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে মহা ফাঁপরে পড়েছিলাম। শেষে বললাম যে সমকামী সম্পর্ক বা বিয়ে ঠিক কি বেঠিক সেটা আমি জানিনা। তবে তোর জীবন নিয়ে তুই কী করবি, সেটা ঠিক করার অধিকার একমাত্র তোর। তুই আমার বন্ধু ছিলি আর বন্ধুই থাকবি। তোর সমকামীতা আমাদের বন্ধুত্বে চিড় ধরাবেনা। কথাগুলো কতখানি তাৎক্ষণিক উপস্থিত বুদ্ধির ফসল আর কতখানি আন্তরিক সে কথা আজ আর মনে নেই। তবে ছেলেটির গলার স্বরে তখন দু ফোঁটা জলের আভাস পেয়েছিলাম। অন্ততঃ আমার তাই মনে হয়েছিল।

এরপর গঙ্গা দিয়ে অনেক জল বয়ে গেছে। সেই ছেলেটি এখন আমেরিকাতে পুরোদস্তুর ‘Gay rights activist’। ইদানীং এই ৩৭৭ ধারার বিরুদ্ধেও লাগাতার আন্দোলন করছে। সুখের বিষয় যে তার পরিবারও, মানে বাবা-মা, তাকে কিছুটা হলেও মেনে নিয়েছে। সেই পুরোন সঙ্গী আজও তার সঙ্গে আছে। দুজনে এক সঙ্গে ভারত ঘুরে গেছে।

এই তিন ধরণের সমকামী ছাড়াও কিন্তু আরেকটি শ্রেণী আছে। আমার ধারণা কোন মানুষই শতকরা একশো ভাগ সমকামী বা বিষমকামী নয়। আপাতদৃষ্টিতে যাঁরা বিষমকামী, তাঁরাও পরিস্থিতির চাপে কখনো কখনো সমকামী যৌনতায় লিপ্ত হতে পারেন। ওপরের ঘটনাগুলোর মতই এটাও শোনা কথা নয়, আমি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকেই জানি। তাই আজ যাঁরা খড়্গহস্ত হয়েছেন, তাঁরা একটু ভেবে দেখবেন। প্রতিকুল পরিস্থিতিতে তাঁদেরও যদি কখনো পদস্খলন হয়, তাহলে কী হবে?

রামধনুর সাতটা রঙ একে অপরের থেকে আলাদা। কিন্তু একসঙ্গে থেকে তারা পরস্পরের সৌন্দর্যবৃদ্ধি করে। কথাটা হয়ত আমাদের একটু তলিয়ে ভেবে দেখার সময় এসেছে।

(শেষ)

One thought on “রামধনু — ৩

  1. Very lucid analysis of a very relevant topic. In my opinion, a considerable part of humanity’s problems are due to the inability to accept ‘different’ behavior. Be it in religion (or the lack of it), social norms, personal tastes, or sexual preference. Enjoying your posts…keep writing 🙂

Leave a comment